করোনা আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল ভয় দেখিয়ে স্কুল বন্ধ রেখে অনলাইন শিক্ষা চালু করা

অর্ঘ চৌধুরী

করোনার আগমন থেকেই একটা রটনা মিডিয়া Iছুদিনের মধ্যেই মারা যাবে কিন্তু বাস্তবে কি দেখা গেল??প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও শিশুরা প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে কারণ বয়স্কদের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা। আপনি নিজে একটু ভেবে দেখুন চারপাশটা উঁকি দিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন শিশুরা অক্ষত আজও। শিশুরা কি মানুষের সংস্পর্শে আসে নি? তবে মিডিয়া আপনাদের বোকা বানালো কেন? কারণটা মাথা চুলকালেই বেরিয়ে আসবে স্কুল-কলেজ বন্ধ করার অজুহাত।

করোনা কে শিখন্ডী করে যে new world order আসছে তার অন্যতম প্রধান কাজটি বিনামূল্যে শিক্ষা পদ্ধতির আক্ষরিক অবসান। এই প্রক্রিয়াটি সুকৌশলে শুরু হয়েছিল অনেকদিন আগেই কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারিনি। একজন বিত্তশালী মানুষের পুত্র উচ্চতম পরীক্ষায় হেরে যাচ্ছে রিকশা আলার গরিব শীর্ণকায় সন্তানের কাছে এ কি মেনে নেওয়া যায়?? তাই অবৈতনিক শিক্ষা সর্বৈব ভাবে বিনষ্ট করতেই হবে।

আপনি কি ভাবছেন অত্যন্ত ব্যয়বহুল স্কুলগুলো যার মাসিক শিক্ষা খরচ আমার আপনার মতো সাধারন মধ্যবিত্তের মাসিক আয়ের থেকেও বেশি সেই সব স্কুল বন্ধ আছে?? লরেটো , হেরিটেজ, ডন বস্কো এই ধরনের স্কুল নিয়মিত তাদের পাঠ করে চলেছে।বন্ধ আছে কেবল মধ্যবিত্ত এবং গরিবের পঠন-পাঠন। বিত্তশালীরা আপনার-আমার মত মধ্যবিত্ত গরিব শিশুকে হারাবার জন্য প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে বিভিন্ন অনলাইন ক্লাসরুম এর মাধ্যমে যারা ভবিষ্যতে আপনার শিশুকে টপকে সাহেবে পরিণত হবে আর গরিবের সন্তান হবে দাস।

আপনারা ভাবছেন কেন বললাম প্রক্রিয়াটি বহু পূর্বেই শুরু হয়েছে?? বলছি একটু ঠান্ডা মাথায় বঝুন। পূর্বের স্কুলগুলোতে পঠন পাঠন এর মান অবশ্যই অনেক ভাল ছিল তার প্রধান কারণ শিক্ষক মহাশয়দের নিষ্ঠা এবং ছাত্রকুলের শিক্ষকদের প্রতি ভীতি। শিশুশিক্ষায় প্রধান ভূমিকা এই ভীতি। শিশু শিক্ষায় মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞানী B F Skinnier তার অপারেন্ট কন্ডিশনিং থিওরি তে এব্যাপার খানিকটা পরিষ্কার করেছিলেন তাই পূর্বে স্কুলগুলোতে পঠন পাঠন অনুশাসনের সাথে চলত তারপর হঠাৎ নতুন নিয়ম এল শিক্ষক মশাইয়ের হাতের বেতটি কেড়ে নেওয়া হলো। শিক্ষাজীবনে আমি নিজেও বহুবার পড়াশোনা করেছি ওই বেতটির ভয়এ কিন্তু এই অনুশাসন এই পঠন-পাঠন একটি সমস্যার সৃষ্টি করছিল তা হল জীবন সংগ্রামে দরিদ্র জীর্ণকায় শিশুটি প্রায়সই জিতে যাচ্ছিল টুকটুকে ফর্সা নাদুস নুদুস বিত্তশালী শিশুদের থেকে। তাই কিছু একটা করা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ছিল পুঁজিপতিদের, প্রথমত শিক্ষার মতো একটি ধন উপার্জন মাধ্যম অবৈতনিক তা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষা,স্বাস্থ্য এই দুটোই তো প্রধান বাণিজ্য সেতু সরকার মহারাজ সম্পূর্ণটা ফ্রিতে দিলে কিভাবে চলে পুঁজিপতিদের পেট??তাই পরিকল্পনা তাই করোণা প্ল্যানডেমিক তাই new World Order।

স্কুল শিক্ষার মেরুদন্ড কে ধংস কেবলমাত্র শিক্ষকদের বেত হরণ করলেই হবে না সাথে হরণ করতে হবে প্রতিনিয়ত শিক্ষার অনুশীলন। এজন্য ছাত্রদের অনুশীলন বিমুখ করবার জন্য আচমকা পাশ ফেল উঠে গেল। এর ফলে সমাজের বহু ছাত্র-ছাত্রী গ্রামগঞ্জে থাকা অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত পরিবারের ছেলে গুলো প্রতিনিয়ত অনুশীলনে আর বেঁধে থাকলো না। শিশু অবস্থায় অনুশীলন না করলে সেই শিশুগুলো আগামী দিনের লড়াইয়ে যে হারিয়ে যাবে একথা পুঁজিপতিরা জানে। এই সব নাটকের সঙ্গে এরাজ্যে আরো একধাপ যুক্ত হলো শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। মমতাময়ীর এইসব নতুন যুগলবন্দীতে প্রতি সপ্তাহে রাজ্যে গড়ে একটি করে স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দুঃখের ব্যাপার আপনারা খবর রাখেন না খবর রাখতেও চান না।

আপনার আগামী প্রজন্ম, আপনার সন্তান যে কর্মহীন, শিক্ষাহীন একপ্রকারyচ্চিত্রে যে প্রতিবাদী মুক্তচিন্তার প্রতীক হিসাবে সত্যজিৎ রায় কেবলমাত্র শিক্ষকদের বেছে নিয়েছিল সেই প্রজন্ম আজ আর নেই তাই আজ আপনি একা। ফেসবুক হোক বা রাস্তা হোক প্রতিবাদ আপনারা করতে আজ ভয় পান। আপনার মুখে নকল মাক্স, মিডিয়ার দেখানো আপনার ভয় যে ধীরে ধীরে আপনার আগামী প্রজন্মের উন্নতির অক্সিজেন সেচুরেশন কমিয়ে আনছে আপনি তা বুঝতেও পারছেন না। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন??এই বুস্টার এর পর আগামীতেও আবার আসছে বুস্টার। তবুও মাস্ক কিন্তু খুলতে পারবেন না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!