করোনা নিয়ে আতঙ্ক বন্ধ হোক, সাধরণ সর্দি কাশি,ঘরেই সুস্থতা
অর্ণব রায়
স্বার্থান্বেষী কিছু মহল করোনা নিয়ে রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইলেও, বাস্তব ও পরিসংখ্যান—দুই-ই বলছে উল্টো কথা। গত ছ’দিনে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার। সাধারণ জ্বর-সর্দি-গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকা হাজার হাজার মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন, এমনকি পরীক্ষা করালে উপসর্গহীনরাও পজিটিভও হচ্ছেন! কিন্তু আতঙ্কই সার। সাধারণ জ্বর-সর্দির মতোই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে ক’দিন বিশ্রাম নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠছেন সিংহভাগ করোনা রোগী। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, সক্রিয় আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার বাড়লেও গত ছ’দিনে ভর্তি বৃদ্ধি এক শতাংশেরও কম।
স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে, দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার প্রায় ছ’মাস পর, ২৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় করোনা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। আক্রান্ত লাফিয়ে বাড়লেও কোভিড হাসপাতালগুলির ৯৮ শতাংশ কোভিড বেড ফাঁকা। তাহলে মাত্র ছ’দিনে এত যে রোগী বাড়ল, তাঁরা গেলেন কোথায়? রাজ্য সরকারের কোভিড বুলেটিন থেকেই জানা যাচ্ছে, এই বিপুল সংখ্যক অ্যাকটিভ রোগীর বেশিরভাগই দিব্যি হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে গেছেন।
তাহলে? আতঙ্কের কারবারিরা কি পরিসংখ্যানকে মান্যতা দেন না? এই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।